• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

অপরাধ

লক্ষ্মীপুরে স্কুল ছাত্রী অপহরণ মামলায় ৪ আসামী কারাগারে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মোস্তাফিজুর রাহমান টিপু, লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত গ্রামের স্কুল ছাত্রী  মুনিয়া অপহরন মামলার মূল হোতা সাগর সহ ৪ আসামী কারাগারে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মালার আসামী মোঃ সাগরকে রামগতি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং অপর ৩ আসামী মোঃ মাহফুজ, মোঃ রনি ও মোঃ শামীম রামগতি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভিক্টোরিয়া চাকমার আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করার আদেশ দেন।

মামলার এজাহারসূত্রে জানাগেছে, তাসমিয়া সুলতানা মুনিয়া (১৫) রামগতি থানার চরনেয়ামত জনতা মডেল একাডেমীর ৯ম শ্রেণীতে অধ্যায়ন করে। মুনিয়া প্রতিদিনের ন্যায় ১০ সেপ্টেম্বর  সকাল সাড়ে আটটায় বাড়ী থেকে স্কুলের দিকে রওয়ানা হয়ে স্থানীয় মনু হাওলাদার বাড়ীর সামনে মুনিয়া আসলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা আসামীরা মুনিয়াকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে (ঢাকা মেট্টো-ঘ-৯৫৫৫) নোহা মাইক্রোবাসে উঠাইয়া দ্রুতগতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওইদিনই মুনিয়ার বাবা মোঃ মুনির উদ্দীন রামগতি থানায় এজাহার দায়ের করেন। যাহার জি.আর মামলা নং-১২২, রামগতি থানা মামলা নং-১০। আসামীরা হলেন, রামগতি উপজেলার চরসেকান্তর গ্রামের মোঃ রাজু (২৪), মোঃ সাগর, উভয় পিতা-আকবর মাঝি, মাহফুজ (১৯), পিতামৃত-মোঃ ইউসুফ, মো: শামীম (২০), পিতা-মো: সিরাজ, মো: শরীফ (২০), পিতা-মো: সিরাজ উদ্দীন, চরনেয়ামত গ্রামের মোঃ রনি (১৯), পিতা-মো: সিরাজ উদ্দীন মোল্লা।

অপহরণের তিনদিন পর পুলিশ ভিকটিম মুনিয়াকে উদ্ধার করে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট ভিকটিমের জবানবন্দী নিয়ে তার বাবার জিম্মায় মুনিয়াকে হস্তান্তর করে।

 

মামলার বাদী মোঃ মনির উদ্দীন জানান, অপহরণের দশ দিন পর আসামী সাগরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, অপর তিনি আসামীর জামিন নামঞ্জর করে বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন। এর আগে ১৮/৯/২০২৩ ইং তারিখ সকাল ১০টায় স্থানীয় সূফিরহাট বাজারে ১ ও ২নং আসামীর পিতা মো: আকবর মাঝি মামলা তুলে নিতে আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় এবং আমার স্ত্রী-কন্যাকে অপহরণ করার হুমকি দেয়। এ ছাড়া মামলার স্বাক্ষী আয়েশা আক্তার সুমি ও মো: জাকেরকে স্বাক্ষী না দিতে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ সুপারের নিকট  আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন। তিনি অপর আসামী মোঃ রাজু ও শরীফকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান।

ভিকটিম মুনিয়া জানান, আসামীরা আমাকে অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে এনে আসামী মো: সাগর আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। তিনদিন পর পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। আমি আসামীদের ভয়ে স্কুলে যেতে  পারছিনা। ভিকটিম ও তার পরিবার ভয় ও আতংঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বলে জানান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দেলোয়ার হোসেন জানান, ৬ আসামীর মধ্যে সাগরকে রামগতি থানার হাজিগঞ্জ এলাকা থেকে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।  বাকি ৩ আসামী আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে আদালত কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। তিনি বলেন বাকি দুই আসামীকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads